লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় সেই প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আশেক এলাহী তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মোহাম্মদিয়া বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
নির্যাতিত ছাত্র আরমান হোসেনের নানি পারভিন আক্তারের করা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আশেক এলাহী তারেকের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শ্যামগঞ্জ গ্রামে। প্রধান শিক্ষক শহীদুল ইসলামের বাড়ি রায়পুর উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে।
পারভিন আক্তার জানান, নাতিকে আরবি শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসায় দিয়েছেন। সেখানে যে শিকল দিয়ে বেঁধে এভাবে নির্যাতন করা হবে, সেটি তিনি বুঝতে পারেননি। নির্যাতনের ঘটনা তিনি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জানতে পেরেছেন। জড়িতদের বিচার চান তিনি।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, শিক্ষক শহীদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আশেক এলাহী তারেককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে শহীদুল ইসলাম উপজেলার পানপাড়া বাজারে দারুল কোরআন মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগের ছাত্র আরমানের পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে সপ্তাহব্যাপী অমানবিক নির্যাতন চালান তিনি। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী নির্যাতনের আরও অভিযোগ রয়েছে।
Source: Samakal